গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে লিখিতভাবে পৃথক দুটি আবেদন করেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এম এ রাজ্জাক।
রাজ্জাক টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ৪০ নম্বর বড় ইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি হিসেবে ২০১৭ তে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হন।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে নরসিংদীর ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষাসহ সার্বিক মান কোনো দিক থেকেই আবেদনকারীর বিদ্যালয়ের সমকক্ষ নয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নিজের বিদ্যালয় ইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি এখানকার বিভিন্ন দিক বর্ণনা করেন।
সভাপতি নিজ খরচে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরে নেওয়ার কথাও তিনি আবেদনে বলেন।
কিন্তু নির্বাচিত ডা. শমরেশ চন্দ্র সাহার পলাশ ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব নেই বলে তিনি দাবি করেন আবেদনে।
নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে বলতে দিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে ৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ এবং এদের মধ্যে পাঁচ জনের ট্যালেন্টপুলসহ সাত জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে এম এ রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে বলেন, “আমি উপজেলা ও জেলাতে প্রথম হয়েছি। স্বচ্ছতার সাথে সভাপতি নির্বাচিত হলে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ সভাপতি হব।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এম বজলুল করিম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পলাশ ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বয়স হয়েছে, তিনি একজন শিক্ষকের সন্তান এবং একজন আর ডাক্তার। এসব বিবেচনা করে যাচাই-বাছাই বোর্ড তাকে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতি নির্বাচিত করেছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। এরপর এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।