রোববার দুপুরে কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রধান কারণ মিয়ানমারে। তাই এর সমাধানও মিয়ানমারেই।
“সবার আগে সেখানে অবশ্যই সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসের কারণে সেখান থেকে মানুষ পালিয়ে আসছে।”
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার উপরও তিনি জোর দেন।
“আপনারা জানেন ইউএনইএচসিআর ও ডব্লিউএফও সেখানে এখনও অবস্থান করছে, কিন্তু আমাদের চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। এখানে নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, কারণ এখনও যারা সেখানে রয়ে গেছে আমরা তাদের জন্য কাজ করছি।
তিনি শনিবার এখানে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
তাদের অপরিমেয় সমস্যার ভয়াবহতা দেখে তিনি স্তম্ভিত হন বলে মন্তব্য করেন।
তাদের জন্য খাবার, পরিষ্কার পানি, আশ্রয়, যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা জরুরি। তবে সম্ভবত সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন তাদের থাকার জায়গা, বলেন তিনি।
গত ২৫ অগাস্টে আবার হামলার ঘটনার পর সেনাবাহিনী পাল্টা কঠোর দমন অভিযান চালাচ্ছে, যেটাকে ‘রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী নির্মূলকরণ’ বলছে জাতিসংঘ।
এর পর থেকে সোয়া চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা কক্সবাজারের আশ্রয় নিয়েছে।