রোববার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণকালে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন বাংলাদেশ তাদের পাশে থাকবে। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সকালে বিমানযোগে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ জাতীয় সংসদের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসেন।
পরে প্রতিনিধি দলটি উখিয়ার বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়।
স্পিকার মিয়ানমারের উদ্দেশে বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে ‘আনান কমিশনের রিপোর্ট’ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘নিরাপদ জোন’গড়ে তুলে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ক্যাম্প পরিদর্শনের পর স্পিকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, কাজী ফিরোজ রশীদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, আশেক উল্লাহ রফিক ও সাইমুম সরওয়ার কমলসহ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর অক্টোবরে রাখাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলার পর সেনা অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনর প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান নেতৃত্বাধীন কমিশন তাদের তদন্ত শেষে গত ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির হাতে প্রতিবেদন দেন।
সেখানে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব না পাওয়ায় এবং নিদারুণ বৈষম্যের কারণে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন রাজ্যে মুসলমান রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে। তাদের ওপর বলপ্রয়োগের পথ ছেড়ে মিয়ানমার সরকারকে যৌক্তিক সমাধানের পথে আসতে হবে।
কফি আনান ওই প্রতিবেদন দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলা হয়। এরপর নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল চলছে।