শুক্রবার কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ।
এদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার মেসেরেনাই থানার মিদ্দাপাড়া গ্রামের বলে জানান তিনি।
সন্ধ্যায় পুলিশ প্রহরায় তাদের কক্সবাজারের উখিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও ওসি জানান।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন মো. নবী হোসেন (২৭), মোছা. দিলদার বেগম (২১), তার ছেলে আব্দুল রহমান (০১), মো. করিম (২৫), মোছা. আমেনা বেগম (২০), তার ছেলে মো. আলী নূর (০১), শহীদুল ইসলাম (২৪), জিনু আক্তার (২০), তার মেয়ে সাবিকুন্নাহার (০৩), সালমা খাতুন (২১), তার ছেলে নুর হোসেন (০২) ও নুর হায়াত (০১) এবং জমির হোসেন (১৮)।
আটকদের বরাত দিয়ে ওসি বিপ্লব কুমার বলেন, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা টেকনাফের উদ্দেশে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসেন।
“বান্দরবানের লামা উপজেলায় আসেন, এখান থেকে পরে বিভিন্নভাবে পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে ময়মনসিংহ চলে যান। সেখান থেকে যান ঢাকায়। ঢাকা থেকে আবার বাসে যান যশোর।
“শুক্রবার বিকালে যশোর থেকে মনিরামপুর হয়ে তারা সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পৌঁছেন।”
ওসি আরও জানান, রাখাইন রাজ্যে তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও আত্মীয়স্বজনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
“প্রায় এক মাস ধরে তারা পথে পথে ঘুরছেন বলে জানান।”