মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের লাশ হস্তান্তর

মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছয় শ্রমিকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2017, 12:12 PM
Updated : 21 Sept 2017, 12:12 PM

বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের দেওয়া হয় বলে জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।

নিহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার রহিম বক্সের ছেলে ইস্রাফিল, সিরাজগঞ্জের সাহাদাতগঞ্জের আমির হামজার ছেলে নাজমুল, সিরাজগঞ্জের হানিফ বেপারীর ছেলে বাবু মিয়া, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানার মৃত সাহেদ আলীর ছেলে সজিব, মানিকগঘ্জের ঘিওর থানার কলিমউদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া এবং বরগুনারর চারাখালি গ্রামের রশিদের স্ত্রী কারখানার ঝাড়ুদার হাসিনা বেগম।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা হয়নি। তবে দুপুরের পরেই মামলা করা হবে।

কারখানার জিএমসহ পাঁচ জন আটক রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কারখানাটিতে দুই শিফটে সাড়ে চারশ শ্রমিক কাজ করে। বুধবার কারাখানাটির সাপ্তাহিক ছুটি থাকা বড় ধরনের প্রাণহিানি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

বুধবার সকালে সদর উপজেলার চরমুক্তারপুর এলাকায় আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলের ছয় তলা ভবনের নিচ তলায় কেমিক্যাল গুদামে তাক তৈরি করার জন্য ওয়েলডিং করার সময় আগুনের ফুলকি কেমিক্যালে পড়ে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন গুদামের সব কেমিক্যালে ছড়িয়ে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। এতে ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা তিন জন এবং চার তলায় থাকা তিনজনের মৃত্যু হয়।

পুলিশ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারখানার জিএমসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে। জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শওকত আলম মজুমদারকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

লাশ হস্তান্তরের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস এবং সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান স্বজনদের সমমর্মিতা জানান।

তাছাড়া হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা উপস্থিত থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেন।