বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরের চকবাজার, শোভারামপুর ও গোয়ালচামট মহল্লার খোদাবক্স রোড এবং শহরতলীর কানাইপুরে এ অভিযান চালানো হয়।
ফরিদপুর র্যাব-৮ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল ও কামরুন নাহার।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহিস উদ্দিন বলেন, অভিযানকালে খোদাবক্স রোডে নবীণ চন্দ্র সাহার গুদামে ৪০ টন, শিবুনাথ সাহার গুদামে ৬০ টন ও শোভারামপুরের কীর্ত্তন সাহার গুদামে ১০ টন চাল পাওয়া যায়।
“পরে ভ্রম্যামাণ আদালত পরিচালনা করে শিবুকে ৩০ হাজার, নবীণকে ২০ হাজার টাকা, কীর্ত্তনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।”
এছাড়াও চাল বিক্রয়ের অনুমতি না থাকায় এবং অতিরিক্ত চাল মজুদের দায়ে চকবাজারের আনিসুজ্জামানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান রহিস উদ্দিন।
এ সময় তাদের গুদামজাত চাল দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল বলেন, ওই চার ব্যবসায়ীর কারও কাছেই লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স না থাকলে কোনো ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী এক টনের বেশি চাল মজুদ করতে পারেন না।
“ওই ব্যবসায়ীদের কাছে অতিরিক্ত ১০৭ টন চাল বেশি পাওয়ায় ১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য আইনে দোষী সাব্যস্ত করে ওই চার চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া গুদামজাত চাল দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।”
এদিকে, সদর উপজেলার কানাইপুর বাজারের চার ব্যসায়ীকে অতিরিক্ত চাল মজুদ করার দায়ে জরিমানা করা হয়।
এখানে স্বপন সিকদার ২০ হাজার টাকা, কৃষ্ণ সাহা ১০ হাজার টাকা, সুজন পোদ্দার ১০ হাজার টাকা এবং নন্দ পোদ্দারকে ১০ হাজার টাকা জমিমানা করা হয় ।
ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার বলেন, অতিরিক্ত চাল মজুদ ও চাল বিক্রয়ের সরকারি অনুমোদন না থাকায় কানাইপুর বাজারের চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।