সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের চক দুর্গাপুর গ্রামে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আয়শা সিদ্দিকা মিষ্টি ওই গ্রামের মোস্তা মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় মাদারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই আশরাফুল ইসলাম (১৮) নামের এক তরুণকে আটক করেছে। আশরাফুল একই গ্রামের নুরুল ইসলাম বুদা মিয়ার ছেলে।
সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মেয়েটিকে গত দুই বছর ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই ইউনিয়নের মাদারহাট (জুগিবাড়ি) গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়া (২০)।
এ নিয়ে এলাকায় ও বিদ্যালয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে বলে পরিদর্শক মতিউর জানান।
“কিন্তু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সোহেল তার গালে চড় দেয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেয়।”
এ সময় তার সহপাঠীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে বখাটেরা পালিয়ে যায় বলে জানান মতিউর।
“সন্ধ্যার পর বাড়ির সবার অজান্তে বিষ পান করে মেয়েটি।”
সাদুল্লাপুর থানার ওসি ফরহাদ ইমরুল কায়েস জানান, বিষ পানে অসুস্থ হলে বাড়ির লোকজন তাকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
‘বখাটে’ সোহেল ও তার অপর সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।
সোহেলের বাবা নুরুল ইসলাম সরকার (৫৯) ও বড় ভাই রাসেল সরকারকে (২৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।