জাজিরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় ৩ জনের স্বীকারোক্তি

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিন আসামি।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2017, 11:06 AM
Updated : 19 Sept 2017, 12:36 PM

জাজিরা থানার ওসি এনামূল হক জানান, অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মু. মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে সোমবার আসামি স্বপ্না বেগম, নুরু মোড়ল ও আল আমিন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জাজিরার পশ্চিম নাওডোবাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রিমা আকতার গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে নিখোঁজ হয়। বুধবার সন্ধ্যায় তার বাড়ির কাছে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

রিমা আকতার আহম্মদ চোকদার কান্দি গ্রামের ইলিয়াছ চোকদারের মেয়ে।

পুলিশকে দেওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি এনামূল হক জানান, ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে রিমা আকতার (১৩) পাশের জব্বর আকনের বাড়িতে বিয়ে খেতে যায়। সেখান থেকে চুন্নু মোড়লের দ্বিতীয় স্ত্রী স্বপ্না বেগম কৌশলে রিমাকে তার বাড়ি ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে একটি ঘরে সারাদিন আটকে রাখেন।

“ওইদিন রাতে স্বপ্না বেগমের সহায়তায় তার স্বামী চুন্নু মোড়ল, নুরু মোড়ল ও আল আমিন মোড়লসহ ৩/৪ জন মিলে রিমাকে প্রথমে ঘরের ভিতর ধর্ষণ করে। পরে পাশের মাঠে নিয়ে আবার ধর্ষণ করে তারা।”

ওসি বলেন, এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে  আসামিরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে রিমার পেট কেটে হত্যা করে পাশের একটি বাগানে রিমার লাশ ফেলে যান বলে তারা পুলিশকে জানান।

ওসি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় রিমার বাবা ইলিয়াছ চোকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

“পরে জাজিরা থানার পুলিশ তদন্ত করে স্বপ্না বেগম, নুরু মোড়ল ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। তারা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করেন।”

স্বপ্নার স্বামী চুন্নু মোড়ল এখনও পলাতক রয়েছেন বলে ওসি জানান।