সদর মডেল থানার ওসি শাহীন পারভেজ জানান, ২৬ বছর বয়সী আব্দুল্লাহর প্রকৃত নাম মাহবুব, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
শনিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকা থেকে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করার সময় আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। অসুস্থ হওয়ায় তাকে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওসি শাহীন আব্দুল্লাহর বাবার বরাতে বলেন, দেয়াল থেকে পড়ে আব্দুল্লাহর বাম পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানে কিছুটা হিন্দি শেখেন।
“শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে আব্দুল্লাহ নিজেকে রোহিঙ্গা পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন, মিয়ানমারে তার ছোট বোন ও মাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পালিয়ে ট্রেনে করে নারায়ণগঞ্জ এসেছেন।”
আবদুল্লাহর ভাঙা হিন্দি ও ভাঙা বাংলায় কথাবার্তায় পুলিশ তাকে রোহিঙ্গা বলে বিশ্বাস করেছিল জানিয়ে ওসি শাহীন বলেন, এর আগে আবদুল্লাহ বরিশাল গিয়ে ভারতীয় পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উজিরপুর থানায় মামলা হয়।
“রোববার দুপুরে পুলিশ তাকে টেকনাফ শরণার্থী ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় গণমাধ্যমে আসা ছবি দেখে তার পরিবার থানায় যোগাযোগ করে। তখন তাকে মাঝপথ থেকে ফেরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”