রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু এ ধর্মঘটের ফলে কুষ্টিয়ার সঙ্গে অন্যান্য জেলার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়াগামী বিবিএস এক্সক্লুসিভ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় হেরোইন বহনের অভিযোগে বাসের চালক সোহেল রানা, হেলপার সাগর ও সুপারভাইজার ঠাণ্ডুকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, “মাদক বহনের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাস, চালক, হেলপার-সুপারভাইজারদের আটক করে মামলা দেওয়াসহ হয়রানি করছে আইন শৃংখলা বাহিনী।
কুষ্টিয়া জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুল আলম বলেন, বাসের যাত্রীদের দেহ বা সঙ্গে লাগেজ চেক করার এখতিয়ার আমাদের নেই। কোটি কোটি টাকার হেরোইন বা যেকোনো মাদকই হোক না কেন, এসবের ব্যবসা করার সামর্থ্য থাকলে কেউ মটর শ্রমিকের কাজ করত না।
“কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাস্তায় যখন প্রশাসনের লোক গাড়ি চেক করছে, তখন অবৈধ মাল বহনকারী বা হোতারা গাড়িতে ফেলে যাত্রীবেশে বেড়িয়ে যাচ্ছে। আর প্রশাসনের লোক তল্লাশি চালিয়ে বহনের দায়ে মটর শ্রমিকদের আটক করে মামলা দিচ্ছে।”
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, মটর শ্রমিকদের ডাকে শুরু হওয়া পরিবহ ধর্মঘট নিরসনে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুইপক্ষ বসে একটা সমাধানে পৌঁছানো হবে।
এদিকে বাস না চলায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, “যত ভোগান্তি শুধু পাবলিকের। কারো কোনো দায় নেই। আগে জানলে বাড়ি থেকে থেকে বের হতাম না।”
কলেজ শিক্ষক রবিউল ইসলাম কুষ্টিয়া শহরের বাসা থেকে খোকসা ডিগ্রি কলেজে যাতায়াত করেন বাসে।
কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় কুষ্টিয়া থেকে কর্মস্থলে যাতায়াতে ৫০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা দিতে হয়েছে অটোরিকশা ভাড়া।
তিনি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে যাতায়াত খরচে নাভিশ্বাস উঠে যাবে।”