চালের দাম বাড়ার পেছনে মিল মালিকদের ‘কারসাজি’

আমদানি শুল্ক হ্রাস ও বাকিতে ঋণপত্র খোলাসহ বিভিন্ন সুবিধা পেলেও বাজারে চালের দাম দফায় দফায় বাড়ার পেছনে মিল মালিকদের কারসাজির অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা।

দিনাজপুর প্রতিনিধিমোর্শেদুর রহমান, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2017, 06:29 AM
Updated : 17 Sept 2017, 06:29 AM

দিনাজপুরের বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ এবং কেজিতে বেড়েছে ৫-৭ টাকা।

বিক্রেতারা এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের কারসাজির অভিযোগ করলেও মালিকরা তা অস্বীকার করে দায়ী করছেন আমদানি নির্ভরতাকে।

আর ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধের গুজব বাজার চড়া করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

দিনাজপুরের বাজারে সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন বিআর আটাশ চালের কেজি এখন ৫৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়।

আর ৫২ টাকার কেজির মিনিকেট ৫৮ টাকায়, ৪২ টাকার স্বর্ণা ৪৭ টাকা, ৩৭ টাকার হাইব্রিড (মোটা) ৪৩ টাকা, ৪৬ টাকার বিআর ঊনত্রিশ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়।

হঠাৎ করেই চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতারাও ক্ষুব্ধ।

স্থানীয় একটি হোটেল মালিক বাবু আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এর আগেও চালের দাম বেড়েছে। তা প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এবার এতো দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা বুঝতে পারছেন না তিনি।

শহরের চক বাজারের চাল বিক্রেতা সুরেশ রায় দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের কারসাজিকে দায়ী করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মিল থেকে চাল নিয়ে ব্যবসা করি। বাজারে চালের কোনো সংকট নেই।

“মিলে প্রচুর চাল রয়েছে। টাকা দিলেই চাল পাওয়া যাচ্ছে।”

তবে কারসাজির অভিযোগ অস্বীকার করে দিনাজপুর চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, যেসব দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে তারা প্রতিদিনই চালের দাম বাড়াচ্ছে। এর প্রভাব স্থানীয় বাজারে পড়েছে।

এদিকে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছে এমন একটি গুজব চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলে জানান দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চালের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। কোনো ব্যবসায়ী যদি অবৈধ মজুদ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।