শনিবার গাজীপুরের কাপাসিয়ায় টোক নয়নপুর এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
পুলিশ প্রধান বলেন, “একসাথে অনেক লোক থাকলে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাদের যদি কর্মসংস্থান না থাকে, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা না থাকে সেক্ষেত্রে সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট হতে পারে।
“তবে তাদের মাধ্যমে যাতে অপরাধ সংঘটিত না হয় সেজন্য তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করবে।”
শহীদুল হক বলেন, যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে তাদের খাবার-দাবার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার। এজন্য তাদের আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে এবং ডেটাবেজ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, “আমরা জনগণের কাছে আহবান জানিয়েছি, তাদের যেন কেউ বাসা বাড়িতে ভাড়া না দেয়, আশ্রয় না দেয়।
“তারপরও যদি তাদের কোথাও পাওয়া যায়, তবে তাদের পুনরায় উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে নেওয়া হবে।”
তিন সপ্তাহ আগে মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর ইতোমধ্যে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ছে।
নতুন শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে আশ্রয় শিবির করেছে সরকার। সেখানে তাদের নিবন্ধনও করা হচ্ছে।
তবে এরইমধ্যে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন রোহিঙ্গারা; বেশ কয়েকজনকে ধরার পর উখিয়ায় ফেরতও পাঠানো হয়েছে।
মধ্যাঞ্চলের মানিকগঞ্জ এবং পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জেও রোহিঙ্গা ধরা পড়ার পর শনিবার উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামেও চার রোহিঙ্গার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৭টি চেকপোস্ট বসিয়েছে চট্টগ্রাম পুলিশ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।