উপজেলার ভুতপাশা গ্রামের উজ্জ্বল শেখের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ২২ বছর বয়সী শামীমা বেগম।
তাকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নুরুল আফসার বলেন, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
চিকিৎসাধীন শমীমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৬ অগাস্ট উপজেলা শহরের নিরাময় ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাম করে তিনি জানতে পারেন, তার গর্ভে মেয়েসন্তান এসেছে।
“এটা জানতে পেরেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়। তারা গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় স্বামী, শ্বশুর সালম শেখ ও শাশুড়ি নিলুফা বেগম বেধড়ক মারধর করেন।”
পরে প্রতিবেশীরা তাকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে বলে তিনি জানান।
এরপর থেকে স্বামী উজ্জ্বল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে তার অভিযোগ।
তিনি বলেন, উজ্জ্বল ময়মনসিংহের বাদশা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। তাদের আনিকা নামে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে উজ্জ্বলের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কাশিয়ানী থানার ওসি এ কে এম আলী নূর হোসেন অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।