আর পাশের ছোট একটি টিনের ঘরে দাপ্তরিক কাজ চলে কোটালীপাড়া উপজেলার ১১৭ নম্বর নলুয়া ফিডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
আকাশে মেঘ দেখা দিলেই ছুটি হয়ে যায় স্কুল। শীত, গ্রীস্ম ও বর্ষায় বৈরী আবহাওয়ায় ক্লাস না হওয়ায় কমে যাচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্কুলটি। ১৯৯০ সালে চার কক্ষের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর পরেই ভবনের ছাদসহ দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়তে থাকে। ২০১২ সালে ভবনটি পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে স্কুলটিতে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে বছরের শুরুতে এ সংখ্যা ছিল ৮৫।
তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে ১৬৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল। যতদিন ভবন ছিল ততদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ঠিক ছিল। ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
“গাছতলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। আর একটি সংস্থার নির্মাণ করা টিনের ঘরে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ করছি।”
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রমি মজুমদার ও মিলন হালদার বলে, গাছের নিচে ক্লাস করতে হয় তাদের। একটু বৃষ্টি হলেই ছুটি হয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি বরেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, শুধু ভবন সংকটই নয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকটও রয়েছে। পাঁচটি পদের মধ্যে বর্তমানে তিনজন শিক্ষক রয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে এ স্কুলের ভবন চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। শিগগিরই ভবনটি পাশ হবে।
আপাতত টিনের ঘর নির্মাণ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।