বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৪তম বিসিএসের শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) সমাপনী কুচকাওয়াজের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি জোর দিতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।”
এর আগে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে করে সকাল ১০টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে একাডেমিতে শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমপানী কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।
নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ মুহূর্তে দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। ”
স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বিশেষ অবদানের কথা স্মরণ করে পূর্বসূরীদের অনুসরণ করতে নতুন পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
“স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজারবাগ থেকে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলে পুলিশ বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে সারদা পুলিশ একাডেমিরও বিশেষ ভূমিকা আছে। এখানে ২৪ জন কর্মকর্তা শহীদ হন।”
মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেওয়া সব পুলিশ সদস্যদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা।
“এজন্য আমরা সর্বোতভাবে পুলিশ বাহিনীকে দক্ষ ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ”
এ সময় পুলিশের উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিবরণ তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ যেন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে পারে এজন্য তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তাদের পদ-পদবিও উন্নীত করা হয়েছে। পুলিশের কল্যাণে সরকারের আরও অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক কে এম শহীদুল হক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি উপস্থিত ছিলেন।