এ ঘটনায় গত রোববার ওই নারী আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সেলিম ওরফে শেখ সোয়েব (২৬) ও তার বন্ধু শেখ শিপনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
বুধবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া মাজারে মেলায় গিয়ে সেলিম ওরফে শেখ সোয়েবের সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয়।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ওই নারী টাঙ্গাইল শহরের আশেকপুর এলাকায় একা বাসায় থাকতেন। সেলিম ওই নারীকে বিভিন্ন সময় অশালীন দিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর সেলিম ও শিপন ওই নারীর বাড়ি গিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করেন এবং শিপন মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, গত রোববার তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি। পরে তিনি টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলাল হোসেন বলেন, আদালত মামলাটি পুলিশ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
“পিবিআইর ওসি মুনিরুল ইসলামকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।”
মামলার আসামি সেলিম দেলদুয়ারের চালা আটিয়া গ্রামের হীরা মিয়ার ছেলে। শেখ শিপন একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
সেলিম মিয়া অবিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ অভিযোগ তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। তাকে হেয় করার জন্য এই অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। এ বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না।