জুয়া খেলার জমি বাজেয়াপ্তের নোটিশ

জুয়া খেলায় সহায়তার অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় প্রায় পাঁচ একর জমি বাজেয়াপ্তের নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2017, 03:53 PM
Updated : 13 Sept 2017, 04:24 PM

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এই নোটিশ কেওয়া গ্রামের আবদুল গফুর গংদের নামে গত ৭ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয়।  

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, আবদুল গফুর গংদের মালিকানাধীন জমি পতিত অবস্থায় ফেলে রাখায় সেখানে অবৈধ জুয়ার আসর বসানো হচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এ বিষয়ে ব্যাপক খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০/১২ বার জুয়ার আসর ভেঙে দেওয়া হয়। তারপরও জুয়া খেলা বন্ধ হয়নি।

সর্বশেষ ২৮ অগাস্ট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জুয়া আইনে ২৩ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বঙ্গীয় প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭ এর ৪ ধারায় বলা হয়েছে- কোনো স্থানকে জুয়ার স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে দিলে উক্ত স্থানের মালিকও একই অপরাধে অপরাধী হিসাবে গণ্য হবেন।

এই আইনে কেন উক্ত জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং তাদের জমি পতিত ফেলে রেখে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার কারণে বাজেয়াপ্ত করে কেন খাস করা হবে না তার জবাব তিন দিনের মধ্যে দাখিল করার জন্য বলা হয় নোটিশে।  

নোটিশে শ্রীপুরের কেওয়া মৌজার আরএস ১৬৭ ও ১৬৮ নম্বর খতিয়ানের ৬২৪০, ৬২৪৩, ৬২৮৯, ৬২৪০ ও ৬২৪১ নম্বর দাগের ৪ দশমিক ৮৪ একর জমির উল্লেখ করা হয়েছে।  

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম বলেন, ওই জমি জুয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। জুয়া অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গাজীপুরে যে স্থানে যার জমিতেই জুয়া খেলা হবে সেই জমিই রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-ই-খুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার এ বিষয়ে একটি জবাব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তা এখনু দেখা হয়নি।