বুধবার টাঙ্গাইলে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে যে সকল রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে তারা যাতে ভোটার হতে না পারে নির্বাচন কমিশন সে ব্যপারে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। সে কারণে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সাথে আমাদের সম্পৃক্ত রাখার কথা বলেছি।”
তিনি বলেন, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কাজটি করবে মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা ও সুরক্ষা বিভাগ; এ কাজে পাসপোর্ট অধিদপ্তরও কাজ করবে। একাজে সম্পৃক্ত হতে ইসি সরকারকে প্রস্তাব দেবে।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে নতুন করে উদ্বাস্তদের ঢল নামে বাংলাদেশ পানে। নতুন করে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় চার লাখের কাছে পৌঁছে গেছে বলে জাতি সংঘের হিসাব।
আশ্রয় পেতে বাংলাদেশে আসা এই রোহিঙ্গারা পরিচয় গোপন করে ভোটার হয়েছেন বলে যেমন তথ্য পাওয়া গেছে; তেমনি অনেকে পাসপোর্ট করে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করেছেন কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সাথেও আমার কথা হয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণের কথা বলেছেন।”
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সংলাপ শেষ হলে বুঝা যাবে কিভাবে কোনো পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করা যায়।”