সোমবার মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক।
গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকার রাধানগর এলাকায় কোরবানির পশুর হাটের টাকার ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন কনস্টেবল রুবেল।
এই ঘটনায় তার ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
চেয়ারম্যান স্বপনের সহযোগী ফরহাদের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে রুবেলের বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে পাল্টা মামলা করেন।
এদিকে ঘটনার ১২ দিনেও মামলার প্রধান আসামি উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন ও তার সহযোগী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ওসি জানান, কনস্টেবল রুবেল হত্যায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন ও তার সহযোগী কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার বাদী কামাল হোসেন বলেন, “মামলার ১২ দিনেও পুলিশ মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো আসামিপক্ষের লোকজন আমাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।”
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, “মামলাটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”