তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলেজ ছাত্রলীগ।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, অধ্যক্ষের কক্ষের টেবিলের কাঁচ, চেয়ার ভাঙ্গা, টেলিফোন এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক এজাজুল হক অভিযোগ করেন, দ্বাদশ শ্রেণির জুবায়ের হোসেন শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে গত ২৬ অগাস্ট অসদাচরণ করে। এ নিয়ে তাকে সাবধান করে দেওয়া হয়। এরপরও সোমবার আরেক শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করলে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বজিৎ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অধ্যক্ষ স্যার জামায়াতের লোক। সব সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের সমস্যা সৃষ্টি করেন। তিনি ছাত্রদের কাছ থেকে পরীক্ষা বাবদ অতিরিক্ত ফি আদায় করছিলেন।
“ছাত্ররা অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে বিষয়টি জানতে চায়। এ সময় অধ্যক্ষ ধাক্কা দিয়ে ছাত্রদের বের করার চেষ্ট করলে টেবিলের কাঁচ ভেঙ্গে যায় এবং ফুলদানি পড়ে যায়।”
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, রাতে কলেজের অধ্যক্ষ এজাজুল হক ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বজিৎসহ সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার পরপর শহর থেকে সোহেল ও অনিক নামে দুই ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।