ঠাকুরগাঁওয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বুনো পাখি

বনের পাখি ধরে আনার পর সবার চোখের সামনেই কেনাবেচা চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার একটি হাটে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিমো. শাকিল আহমেদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2017, 09:03 AM
Updated : 11 Sept 2017, 09:03 AM

উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের লাহিড়ী হাটে গিয়ে শুক্রবার বেলা ২টার দিকে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি খাঁচায় ভরে বিক্রি করতে এসেছেন শিকারিরা। ক্রেতারাও কিনছে আগ্রহ ভরে।

টিয়া, ঘুঘু, শালিক, বক, পানকৌড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির জোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।

পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের শিকারি মো. হৃদয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটক বলেন, “পোষা টিয়া দিয়ে লেঠা ফাঁদে ফেলে আটটি টিয়া ধরেছি। লাহিড়ী হাটে সেগুলো প্রতিজোড়া বিক্রি করেছি ৮০০ টাকায়।”

ধানক্ষেতে ফাঁদ পেতে ঘুঘু ধরেন উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের কুশালডাঙ্গী গ্রামের দবিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজ তিনি ১০টি ঘুঘু ধরতে পেরেছেন। হাটে এনে সেগুলো বিক্রি করেছেন প্রতিজোড়া ৪৫০ টাকায়।

বনের পাখি ধরা নিষেধ – এটা জানেন কিনা জিজ্ঞেস করলে শিকারি নজরুল ইসলাম বলেন, “তা তো জানি, কিন্তু পেটের দায়ে পাখি শিকার করি।”

তিনি ফাঁত পেতে সাতটি বক ও দশটি শালিক ধরেছেন বলে জানালেন। এর মধ্যে চারটি বক তিনি ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। অন্যগুলো বিক্রির আশায় তাকে হাটে বসে থাকতে দেখা যায়।

পাখি কিনতে লাহিড়ী হাটে এসেছেন আরমান হোসেন।

“লাহিড়ী হাটে পাখি বিক্রির কথা শুনে কেনার জন্য এসেছি। এখান থেকে দুটি টিয়া কিনলাম ৮০০ টাকায়।”

হাফিজুল ইসলাম তানভীর নামে আরেক ক্রেতা দুইজোড়া বক ৫৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন বলে জানালেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মান্নান বলেন, “পাখি শিকার ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। লাহিড়ী হাটে পাখি বিক্রির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। অচিরেই পাখির হাট বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”