শনিবার ভোরে সোহেল রানা (২০) নামের ওই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সোহেল রানা পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে।
সোহেলের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে সোহেলসহ একদল বাংলাদেশি মাস্টারেরবাড়ি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যান।
তারা অভিযোগ করেন, সেখান থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পানিশালা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যান্যরা পালিয়ে এলেও সোহেলকে আটক করে বেদম মারপিট করে বিএসএফ।
খবর পেয়ে সোহেলের স্বজনরা সকালে সীমান্তে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে মুমূর্ষু অবস্থায় সোহেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
“চিকিৎসা সেবা শুরু করতে না করতেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এএসএম শাহ নেওয়াজ নিশাদ বলেন, “বিএসএফের নির্যাতনে সোহেলের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।”
পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ কবির বলেন, নিহত সোহেল ভারতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ বলেন, সোহেল নামে নিহত ওই ব্যক্তিকে মারধরের বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।