আটকের পর ওই যুবককে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে পরিবারের দাবি।
মৃত মোজাহারুল ইসলাম জিএস (৩২) নওগাঁর মান্দা উপজেলার কয়বর্তপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমান মণ্ডলের ছেলে।
শুক্রবার রাতে মান্দার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের পচার মোড় থেকে র্যাব মোজাহারুলকে আটক করে।
শনিবার সকালে তার পরিবারের লোকজনকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুরাদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে আট রাউন্ড গুলিসহ মোজাহারুলকে আটক করা হয়। এর মধ্যে চার রাউন্ড বন্দুকের গুলি এবং চার রাউন্ড ছিল পিস্তলের গুলি। “আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মোজাহারুল জানান তার হেফাজতে আরও তিনটি অস্ত্র আছে। ওই অস্ত্র উদ্ধারে তাকে নিয়ে অভিযানে যায় র্যর্যাব। অভিযান শেষে ফেরার সময় গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোজাহারুল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মোজাহারুলের মৃত্যু হয়েছে।
“তার শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন নেই। হার্ট এটাকে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, শনিবার বিকালে হাসপাতালের লাশ ঘরে জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা সুলতানা নুসরার উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা সুলতানা নুসরা বলেন, “মৃতের শরীরের বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে সেই আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
“পরে তাদের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিজ ঘরে আটকে রেখে মোজাহারুলকে প্রচণ্ড মারপিট করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, এরপর তাকে নিয়ে বাইরে যায় র্যাব সদস্যরা। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবার তাকে নিয়ে বাড়িতে আসে র্যাব সদস্যরা।
“এ সময় গ্রামের দুইজন লোককে ডেকে নিয়ে তার (মোজাহারুল) কাছে ছয় রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে বলে র্যাব সদস্যরা জানান। এরপর মোজাহারুলকে নিয়ে চলে যায় র্যাব সদস্যরা।
“শনিবার সকালে খবর পাই ভাইয়ের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।”
মোজাহারুলের বাবা আনিসুর রহমানের অভিযোগ, “মিথ্যা অভিযোগে ধরে নিয়ে গিয়ে র্যাব প্রকাশ্যে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে। এতে ছেলের মৃত্যু হয়েছে।”