শুক্রবার বিকাল থেকে এই নৌ রুটে ১৩টি ফেরি চলাচল শুরু করেছে বলে জানান শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালিদ।
শাহ নেওয়াজ খালিদ জানান, লৌহজং টার্নিং থেকে ৩/৪ কিলোমিটার দূরে ওয়ানওয়ে রুট করে বিকাল থেকে ১৩টি ফেরি চালানো হচ্ছে। চারটি রো রো ফেরিসহ আটটি ফেরি এখনও চলতে পারছে না।
“দিনভর সাতটি ফেরি দিয়ে ছোট যানবাহন ও যাত্রী পার করানো হয়েছে। বিকাল থেকে ১৩টি ফেরি চলাচল শুরু হয়।”
তিনি বলেন, পানি কম থাকায় ফেরিগুলো স্বাভাবিক চলতে পারছে না। প্রায়ই ফেরির তলা মাটিতে আটকে যাচ্ছে। এতে ফেরির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও পরিস্থিতি মোকাবলায় ফেরিগুলো চালাতে হচ্ছে।
শাহ নেওয়াজ খালিদ আরও বলেন, নাব্যতা সংকট কাটাতে বিআইডব্লিউটিএ-এর জাহাজ দিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ ড্রেজিং করা হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সিনো হাইড্রোর একটি শক্তিশালী ড্রেজারসহ পাঁচটি ড্রেজার দিয়ে টার্নিং পয়েন্টে পদ্মার তলদেশের বালু অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
“খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সচল করা হবে এ নৌ রুটিটি। তবে যাত্রী পারাপারের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে।”
সকালে শিমুলিয়ায় শতাধিকিএবং কাঁঠালবাড়ি ঘাটে দুই শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। কাঁঠালবাড়ি ঘাটে দিনভর ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোটে ঢাকামুখী যাত্রীর ভিড় ছিল।
এ কারণে উভয়পাড়েই যানজট আর মানুষের ভোগান্তি ছিল।
গোপালগঞ্জ থেকে গাজীপুরগামী লঞ্চ যাত্রী রওশন আলী বলেন, “আমি একজন সরকারী চাকরিজীবী। ভোর ৫টার দিকে কাঁঠালবাড়ি থেকে ফেরি কেতকীতে কোনোরকমে উঠি। সাড়ে ৫টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ফেরি। সকাল ১০টায় শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছি।
“এখানে ঢাকামুখী মানুষের ব্যাপক দেখা যাচ্ছে এবং সে অনুযায়ী গাড়ি তেমন নেই। গাজীপুর যে কখন যাব জানি না। তার উপর রয়েছে অসহ্য গরম।”
বরিশালের গৌরনদী থেকে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে কাঁচপুরগামী যাত্রী মো. হাফিজ শিকদার বলেন, “১০ বছর হয় এ রোড দিয়ে যাতায়াত করি, তবে আজকের মতো কষ্ট কোনোদিনও করিনি।
“আজ সকাল থেকে প্রায় চার ঘণ্টা লৌহজং চ্যানেলে ফেরির মধ্য আটকে পড়ি। তাতে প্রায় গন্তব্যে পৌঁছতে আরও চার ঘন্টা সময় লেগে যাবে।”
গত ৩১ অগাস্ট থেকে পদ্মার পানি কমতে থাকায় এ রুটে ফেরি চলাচল বিঘ্ন হয়। ঈদে ঘরমুখী মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল।