চোখ উৎপাটন: খালিশপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা

খুলনা শহরে শাহজালাল ওরফে শাহজামাল নামে যুবকের চোখ উপড়ানোর সেই ঘটনায় খালিশপুর থানার ওসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2017, 01:53 PM
Updated : 7 Sept 2017, 01:53 PM

শাহজালালের মা রেনু বেগম বৃহস্পতিবার খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আদালতের বিচারক মো. শাহীদুল ইসলাম বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে আদেশের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক রেখেছেন।

আসামিরা হলেন - খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খান, এসআই রাসেল, এএসআই তাপস রায়, এসআই মো. সেলিম মোল্লা, এসআই মিজান, এসআই মামুন, এসআই নূর ইসলাম, এএসআই সৈয়দ সাহেব আলী, আফসার আলী, আবুল হোসেন, রেজাউল, ৬১/১ পুরাতন যশোর রোডের শুকুর আহম্মেদের মেয়ে সুমা আক্তার (২০) ও শিরোমনি বাদামতলা এলাকার লুৎফুর হাওলাদারের ছেলে রাসেল (৩২)।

গত ১৮ জুলাই খুলনা শহরের গোয়ালখালী বাসস্ট্যান্ডে শাহজালালের চোখ উপড়ে ফেলা হয়। শাহজালাল পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার সুবিতপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। খুলনার খালিশপুরে তার শ্বশুরবাড়ি।

আইনজীবী মোমিনুল মামলার বরাতে বলেন, সুমা আকতার ও রাসেল নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে গত ১৮ জুলাই রাতে পুলিশ শাহজালালকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পরিবারের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে।

“টাকা না দেওয়ায় রাতেই তাকে পুলিশের গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে দুই চোখ তুলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে আসে। পরে সুমা আকতারের দায়ের করা একটি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”

শাহজালের চোখ উপড়ে ফেলার পর খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খান বলেছিলেন, “সুমার ব্যাগ ছিনতাই হওয়ার পর স্থানীয়রা ছিনতাইকারী সন্দেহে তার দুই চোখ তুলে ফেলে।”

কিন্তু শাহজালালের বাবা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “পুলিশ তাকে আটক করে টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়।”