হাতিয়ায় আ. লীগের দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, গুলিবিদ্ধ ১০

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2017, 02:17 PM
Updated : 6 Sept 2017, 03:46 PM

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের স্বামী মোহাম্মদ আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন।

হাতিয়া থানার ওসি আবদুল মজিদ জানান, বুধবার বেলা আড়াটার দিকে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ শটগান থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসহ মানসুরুল হক বলেন, তারা এখানে আহত অবস্থায় আসা ১১ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন।

“তাদের মধ্যে ১০ জনের গায়ে গুলি লেগেছে। আর আরও একজনের গায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।”

গত ৩০ অগাস্ট সোনাদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রিয়াজ উদ্দিনকে (২৭) কুপিয়ে হত্যার পর সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ালীউল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়।

মঙ্গলবার নিহত রিয়াজের বাবা কোরবান আলী ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে আয়েশার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীকেও আসামি করা হয়। এরপর বুধবার সকাল থেকে আয়েশার বাড়িতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ওয়ালীউল্লাহর সমর্থক মাহমুদ আলী রাতুলের বাড়িতেও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়ে।

আয়েশার স্বামী মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় রয়েছেন।

“এর মধ্যে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে বাড়িতে দুপুরে প্রতিবাদ সভা হচ্ছিল। সভায় আয়েশা ফেরদৌস বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। তারা ককটেল ও ইটপাটকেল ছুড়েছে।”

এ সময় তাদের চার কর্মী আহত হন বলে তিনি জানান। তবে তিনি আহতদের নাম-পরিচয় বলতে পারেননি।

অপরদিকে মাহমুদ আলী রাতুলের অভিযোগ, “বিনা উস্কানিতে আয়েশা ফেরদৌসের উস্থিতিতে মোহাম্মদ আলীর অনুসারীরা আমার বাড়ি এসে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

“এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতাকর্মী আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।”

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, “রিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় মামলাকে ইস্যু করে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।”

এ বিষয়ে জানার জন্য কয়েকবার ফোন করা হলেও সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস সাড়া দেননি।

ঘটনার পর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে ওসি মজিদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।