উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের কালাপাগলা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে হালুয়াঘাট সার্কেল এএসপি আলমগীর হোসেন জানান।
দগ্ধদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এরা হলেন ওই গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২২) ও মহিরুন আক্তার (১৪) এবং ছেলে রাসেল কবীর (২০)।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক অনুপম কুমার দাস বলেন, এসিডে মরিয়ম ও তার ভাই রাসেলের শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঝলসে গেছে।তারা এখনও আশংকামুক্ত নন।
তবে মহিরুনের অবস্থা মোটামুটি ভালো বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মরিয়মের সাবেক স্বামী সোহেল রানাসহ তিনজনকে আটক করেছে।
সোহেল উপজেলার পৌর শহরের রঘুনাথপুর এলাকার আব্দুল হাই মেম্বারের ছেলে।
এএসপি আলমগীর বলেন, মরিয়মের সাবেক স্বামী সোহেল রানা (৩০) এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। রাতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সোহেল ও তার সহযোগী আলামিন (২৫) এবং এসিড বিক্রেতা উজ্জ্বল বণিককে (২৩) আটক করা হয়েছে।
মরিয়মের মামাত ভাই জিয়াউল হক বলেন, দুই বছর আগে প্রেম করে পারিবারের অজান্তে বিয়ে করে সোহেল ও মরিয়ম। এর আগে সোহেল আরেকটি বিয়ে করে। সেই ঘরে তার একটি মেয়ে আছে।
“বিয়ের এক বছর পরে মরিয়ম জানতে পারে সোহেলের আগের স্ত্রী ও সন্তানের কথা। এরপর থেকেই তাদের সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। আট মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।”
তিনি বলেন, “এরই জেরে মঙ্গলবার রাতে মরিয়ম ছোট বোন ও ভাইকে নিয়ে টিভি দেখার সময় সোহেল দিয়ে স্ত্রী মরিয়মকে লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে মরিয়মসহ তার দুই ভাই-বোনের শরীর ঝলসে যায়।”
পরে ওই তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়মমসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে মরিয়মের বাবা বাদী হয়ে দুপুরে সোহেল, আলামিন ও উজ্জ্বলসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন বলে জানান হালুয়াঘাট থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া।