মঙ্গলবার ভোর থেকে পদ্মার পানি আবারও কমতে থাকায় ছোট আকারের চারটি ফেরি চালু রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী।
নাব্যতা সঙ্কটে সোমবার রুটে আটটি ফেরি দিয়ে পারাপার চলছিল। মঙ্গলবার সে সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হলো।
বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে ভারি যানগুলোকে বিকল্প পথে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে ঢাকা, কুমিল্লা, কাকলী ও করবী নামের চারটি ছোট ফেরি দিয়ে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের মতো হালকা যান এবং যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে।
নাব্যতা সঙ্কটে রোববার রাত থেকে রায়পুরা ও যমুনা নামের দুইটা ফেরি অর্ধশত যানসহ লৌহজং চ্যানেলে আটকে যায়। যা এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির এ কর্মকর্তা বলেন, গত ৩১ অগাস্ট থেকে পদ্মার পানি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় এ রুটে ফেরি চলাচল মারত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এখন একরকম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
“চ্যানেলটি পুনরায় চলাচলের উপযোগী করার জন্য ড্রেজিং কাজ চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নৌ রুটটি সচল করা হবে।”
এদিকে ঘাট এলাকায় প্রাইভেটকারসহ ছোট-বড় মিলিয়ে দুই শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে যাত্রী পারাপারের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে।