সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তামাই হাই স্কুল মাঠে বিএনপির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম খান পাপ্পুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল আলীম জানান।
আহতদের মধ্যে আটজনকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের দুদিন আগে তামাই বাজার এলাকায় পাপ্পুর লোকজন আলীমের ব্যানারের পাশে ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার লাগাতে যায়। এ সময় আলীম পক্ষের লোকজন বাঁধা দিলে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনার জেরে সোমবার ফের সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন বলে জানান তারা।
এসআই আব্দুল আলীম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, “সোমবার সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ মোটর সাইকেলে করে তামাই বাজার এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে আলীম পক্ষের লোকজন অতর্কিতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।”
পাল্টা অভিযোগ করে আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, “দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নির্দেশে পাপ্পুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে আমার গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামের লোকজন প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়।”
রাকিবুল ইসলাম খান পাপ্পু বলেন, “শুনেছি একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সমাধান করার জন্য যা করণীয় তা আমি করবো।”