শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাচঁপুর, মেঘনা সেতু টোলপ্লাজা, দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতি সেতুর টোলপ্লায় ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা ত্রিমোড়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী, চান্দনা-চৌরাস্তা ও ভোগড়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ধীরগতি দেখা গেছে।
টোলপ্লাজার জন্য প্রায় এক কিলোমিটার ধীরগতি ছাড়াও কুমিল্লার পদুয়ারবাজার রেলক্রসিংয়ে রেলওভারপাসের সড়কের বেহালদশায় যানবাহনগুলোকে ধীরে চলতে হচ্ছে। এ ধীরগতি ছাড়া মহাসড়কের ১০৩ কিলোমিটার অংশে কোথাও যানজট বা ধীরগতি নেই।
চট্টগ্রামগামী বাসের চালক সুমন বলেন, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ ও পদুযারবাজার এলাকায় সড়ক ভাঙা থাকায় ওই এলাকায় কিছুটা ধীর গতিতে চলাচল করতে হয়। তাছাড়া মহাসড়কে যানজট নেই।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বৃহস্পতিবার রাতে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়ে জট দেখা দিলেও শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।
উত্তরবঙ্গগামী এনা পরিবহনের যাত্রী মো. আবুল মনসুর বলেন, শুক্রবার সকালে ভোগড়া বাইপাস কাউন্টার থেকে সপরিবারে বাসে উঠেছেন। অন্যসময় ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যেতে কোনাবাড়ি, মৌচাক, সফিপুর, পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হত, কিন্তু অনেকটা নির্বিঘ্নেই ওই পথ পাড়ি দিয়েছেন তারা।
“তবে শুক্রবার সকাল থেকে জট নেই, চন্দ্রা ও এর আশপাশ এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে ধীর গতিতে। ”
কোনাবাড়ি হাইওয়ে থানার ওসি হোসেন সরকার জানান, চন্দ্রা এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় সেখানে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তবে দীর্ঘ যানজট নেই বললেই চলে।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, ভোগড়া বাইপাস মোড় ও চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় রেশনিং পদ্ধতিতে গাড়ি চলায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে পুলিশ তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।