মেয়েটি বাদী হয়ে বুধবার রাতে সখীপুর থানায় মামলা করেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান।
আসামি শামীম আহমেদ সামেশ মিয়ার (৩৫) বাড়ি উপজেলার দেওবাড়ী গ্রামে।
পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই জাহিদুল।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, স্কুলে যাওয়ার-আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে শ্যালিকার মেয়েকে টাকা ও বিভিন্ন উপহারের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন শামীম।
“কিছুদিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে নির্জন বনে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলেন। এরপর গত ৭ জুলাই বাড়িতে একা পেয়ে মেয়েটিকে দ্বিতীয় বার ধর্ষণ করেন শামীম।”
পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মা-বাবার কাছে জানায় বলে এসআই জাহিদুল জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, “বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে শামীমকে বারবার ডাকা হলেও সে সাড়া দেয়নি। শামীম এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।”
ওই ছাত্রীর মা বলেন, “আমার আপন বোনের জামাই আমার মেয়ের সর্বনাশ করতে পারে আমি তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমি এর বিচাই চাই।”
এ বিষয়ে জানতে শামীমের মোবাইলে ফোন করা হলে তার স্ত্রী ফোন ধরে বলেন, “ঘটনা সত্য হলে আমি আমার স্বামীর কঠিন বিচার চাই।”