এদিকে, নারায়ণগঞ্জে চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ‘নির্দোষ’ রাজীবকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের।
নগরীর দেওভোগ হাতিরঝিল এলাকায় বুধবার রাজীবের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
দেওভোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর আজিজের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া, দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি এবং জাতীয় পার্টি নেতা নীলু ভুইয়া, নারায়ণগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা চার বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের মামলায় চারুকলার ছাত্র রাজীব শীলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সামসুল আলম আজাদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবী ও আসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
“সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই মেধাবী ছাত্র ও মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রাজীব কান্তি শীলকে শিশু যৌন নিপীড়নের মিথ্যা অভিযোগ এনে একদল দুস্কৃতকারী ক্লাস থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
যারা এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন করেছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিলেই সবকিছু পরিষ্কার হবে বলে তিনি জানান।
গত রোববার নগরীর দেওভোগে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব কান্তি শীলকে এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কয়েকশ লোক কলেজের ভেতর থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে পুলিশে সোর্পদ করে।
ওই শিশুর মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় রাজীবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সোমবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত রাজীবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার আদালতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করলে তা নাকচ করে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।
ওই শিশুর মা নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়ার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।