বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যেসব এলাকার ফসল ভাল আছে সেখান থেকে বেশি দামে চারা সংগ্রহ করছেন চাষীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, বন্যায় এ জেলায় এক লাখ ২১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। পানি নামতে নামতে ২৫ হাজার হেক্টরের বেশি ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।
বাকি জমির ফসলও যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চারার দাম বেড়েছে চাষীরা জানান।
সদর উপজেলার কর্নাই গ্রামের প্রশান্ত রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক বিঘা জমির জন্য চারা কিনতে তার ব্যয় হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
“প্রথম দফার বিনিয়োগ তো বানের পানিতে ভেসে গেল। এখন দ্বিতীয় দফায় বেশি দামে কেনা চারা রোপণ করতে হচ্ছে।”
একই গ্রামের অমল চন্দ্র রায়ও একই কথা বললেন।
সরকার চারা বিতরণের ঘোষণা দিলেও তার জন্য চাষীরা অপেক্ষা করতে পারছেন না বলে অনেকে জানিয়েছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার ঘাটাইল গ্রামের তরণী দাস বলেন, “এখনও চারা পাইনি। কিন্তু জমি তো ফেলে রাখা যায় না। তাই নিজ উদ্যোগে চারা কিনে রোপণ করছি তিন বিঘা জমিতে।”
এ গ্রামের সচিন দাসসহ অনেকেই বললেন এমন কথা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, নতুন বীজতলা করা হয়েছে। চারা বিতরণও শুরু হচ্ছে। প্রত্যেক চাষীকে ব্রি-৩৪ ধানের বীজ ও বিআর-২৩ জাতের নাবি ধানের চারা দেওয়া হচ্ছে।
এ জেলায় দুই লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে তিনি জানান।