ত্রাণের আলু ‘বিনা পয়সায়’ সংগ্রহ করছে পুলিশ

বন্যার্তদের সহায়তায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ১০টি হিমাগার থেকে বিনা পয়সায় আলু সংগ্রহের অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2017, 01:07 PM
Updated : 29 August 2017, 01:09 PM

তবে জেলা পুলিশ সুপার বলছেন, বন্যার্তদের যে আলু দেওয়া হয়েছে তা পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া টাকায় কেনা হয়েছে।

কয়েকটি হিমাগারের মালিক জানিয়েছেন, উপজেলার সালামিন কলিং ফুড হিমাগার থেকে ১০ বস্তা, আরবি স্পেশালাইজড হিমাগার থেকে ১৮ বস্তা, নরওয়েস্ট হিমাগার থেকে ১০ বস্তা, এম ইসরাত হিমাগার থেকে ১০ বস্তাসহ উপজেলার ১০টি আলু হিমাগার থেকে নেওয়া হয়েছে। গত ১৯ থেকে ২১ অগাস্টে মধ্যে কালাই থানার পুলিশ মিনি ট্রাকে করে এসব আলু সংগ্রহ করে

হিমাগারগুলো থেকে সব মিলিয়ে অন্তত দেড়শ বস্তা আলু সংগ্রহ করা হয়েছে, ৮৪ কেজি ওজনের প্রতিটি আলুর বস্তার বাজার মূল্য ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা বলে জানান তারা।

বন্যার্ত দেওয়ার নাম করে পুলিশ এ আলু সংগ্রহ করে বলে জানান মালিকরা।

আলু সংগ্রহের কথা স্বীকার করে কালাই থানার ওসি নুরুজ্জামান চৌধূরী সাংবাদিকদের বলেন, “বন্যার্তদের সহায়তার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে উপজেলার ১০টি হিমাগার থেকে ১১০ বস্তা আলু সংগ্রহ করা হয়েছে।”

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র খন্দকার হালিমূল আলম জন বলেন, “হিমাগারগুলো থেকে ত্রাণের জন্য পুলিশকে আলু সংগ্রহের অনুরোধ তো দূরের কথা, বিষয়টিই জানিই না।”

এদিকে বন্যার্তদের মাঝে পুলিশ কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছা অর্থায়নে আলু সংগ্রহ করে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুপার রশীদুল হাসান।

তিনি বলেন, “জেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত ১২৫ জনকে পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি করে আলু দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছা অর্থায়নে ত্রাণের সেই আলু সংগ্রহ করা হয়েছে। কোনো হিমাগার থেকে আলু বা অর্থ নেওয়া হয়নি।”

কোনো পুলিশ সদস্য এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে খতিয়ে দেখে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।