ভালুকা মডেল থানার এসআই জীবন চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে মঙ্গলবার মামলাটি করেন বলে ওসি মামুনর রশীদ জানিয়েছেন।
এসআই জীবন চন্দ্র বলেন, মামলায় বাড়ির মালিক আজিম উদ্দিন ও নিহত আলম প্রামাণিকের স্ত্রী পারভীন আক্তারসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
“বিস্ফোরণ ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা এই মামলায় আজিম ও পারভীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
এছাড়া বাড়িওয়ালা আজিম উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও তাদের দুই ছেলে আশিক (২০) ও হাসানকে (১৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে এসআই জীবন জানান।
রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকায় আধা-পাকা একটি বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই বাড়ির অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত একজনের নিথর দেহ পড়ে ছিল।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, বিস্ফোরণে নিহত আলম প্রামাণিক নাটোর সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জেএমবির ‘আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য ও বোমা বিশেষজ্ঞ’ ছিলেন।
সুতা ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে স্ত্রী পারভীন আক্তার ও দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গত ২৪ অগাস্ট হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকার ওই বাড়িতে ওঠেন আলম।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার পর পুলিশের কাউন্টার টেরিজম ইউনিটের ভালুকা অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু বলেন, বোমা বিস্ফোরণের পর দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান নিহতের স্ত্রী। পরে মসজিদের মাইকে তাদের ধরতে সাধারণ মানুষের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে হবিরবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পারভীনকে তার সাত ও এক বছর বয়সী দুই শিশুসহ আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।