বগুড়া আদালতের আইনজীবী স্বপন কুমার সাহা জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবু রায়হানের আদালতে সোমবার মামলাটি দায়ের করেন নিহত পিন্টুর স্ত্রী খায়রুন্নেছা। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি আরও ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পিন্টু ছিলেন উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।
পিন্টুর মা পিয়ারা বেগমের অভিযোগ, জমির বিরোধের জেরে স্থানীয় এনামুল হক মিল্টন (৪৬) ও নিউটন (৩০) কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির চার সদস্যের সঙ্গে যোগসাজশে পিন্টুকে হত্যা করেন।
“পুলিশের নির্যাতন ও ভয়ে অসুস্থ হয়ে আমার পিন্টু মারা গেছে।”
আসামিদের মধ্যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা হলেন - মিল্টন, নিউটন, কৈগাড়ী ফাঁড়ির এসআই আনিছুর রহমান (৪০), এসআই রফিকুল ইসলাম (৩৮), কনস্টেবল আজিবুল (৪০) ও সাহেদ আলী (৪০)।
আইনজীবী স্বপন মামলার বরাতে বলেন, পিন্টুর সঙ্গে মিল্টন ও নিউটনের জমির বিরোধ রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা চলছে আদালতে। এ অবস্থায় ১৯ অগাস্ট মিল্টন একটি মিথ্যা মামলা করেন পিন্টুর বিরুদ্ধে।
“এর জেরে ২২ অগাস্ট কৈগাড়ী ফাঁড়ির চার পুলিশ সদস্য ও মিল্টন শলাপরামর্শ করে পিন্টুকে মারধর করেন। তারা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আত্মীয়-স্বজন ছাড়াই পুলিশি পাহারায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয় এবং পরের দিন পুলিশি তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত করা হয়।”