রংপুরে খাদেম হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2017, 11:07 AM
Updated : 27 August 2017, 11:07 AM

রোববার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে মামলার বাদী খাদেমের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান।

তিনি বলেন, রহমত আলী পীরবাদের তরিকায় বিশ্বাসী ছিলেন বলেই জঙ্গিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে বাদী আদালতকে জানিয়েছেন।

“বাড়ির কাছে দাদা আব্দুস সাত্তারের নামে মাজার শরীফ আছে। রহমত আলী ওই মাজারের খাদেম ছিলেন। এছাড়া রহমত আলী কেরানীগঞ্জের বাবা জাহাঙ্গীর বা ঈমান আল সুরেশ্বরী নামে এক পীরেরও মুরিদ ছিলেন বলে বাদী তার সাক্ষ্যে জানিয়েছেন।”

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, “আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর ওই মাজার প্রাঙ্গণে ওরশ শরীফের আয়োজন করা হয়। পীরবাদের তরিকায় বিশ্বাসী হওয়ায় এবং মাজারে ওরস শরীফের আয়োজন করায় স্থানীয় কয়েকজন জামায়াত নেতা এবং জঙ্গিরা তা বন্ধ করার জন্য তার বাবাকে একাধিকবার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল বলে বাদী সাক্ষ্যে বলেন।

“তা উপেক্ষা করে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ওই মাজার প্রাঙ্গনে ওরস শরীফের আয়োজন করা হচ্ছিল। ওরস শরীফের ১১ দিন আগেই তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা।”

সাক্ষ্য শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করেন।

পরে আদালত আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন রাখে। ওই তিনদিন পাঁচজনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে আইনজীবী রথীশ জানিয়েছেন। 

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ গত বছরের ৩ জুলাই জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমাণ্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জেএমবির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। গত ১৬ অগাস্ট রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জেএমবির ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।