বাগেরহাটে হাতকড়াসহ আসামি ‘ছিনতাই’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একাধিক মামলার এক আসামিকে হাতকড়াসহ তার স্বজনরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2017, 06:58 AM
Updated : 27 August 2017, 10:56 AM

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন; আটক করা হয়েছে দুইজনকে।    

চিতলমারী থানার ওসি অনুকুল সরকার জানান, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের পরাণপুর গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

রোববার সকালে এ ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।

ছিনিয়ে নেওয়া আসামি পান্না বিশ্বাস (৪৪) চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের খোকা বিশ্বাসের ছেলে।

পান্না বিরুদ্ধে চিতলমারী থানায় করা অন্তত ১০টি মাদক মামলার মধ্যে চারটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

আহতরা হলেন- চিতলমারী থানার এএসআই নূর আলম, হাবিবুর রহমান এবং কনস্টবল সাদমান শেখ। তাদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি অনুকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এএসআই নূর আলম, হাবিবুর এবং কনস্টবল সাদমান শনিবার সন্ধ্যায় পরাণপুর গ্রাম থেকে পান্নাকে গ্রেপ্তার করেন।

“সেখান থেকে হাতকড়া পরিয়ে পান্নাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে থানার দিকে ফিরছিলেন তারা। পথে পান্নার স্বজনরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পান্নাকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।”

এ সময় ওই তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে বাড়তি পুলিশ গিয়ে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বলে জানান ওসি।

হামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পান্নার দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করে। 

এরা হলেন- চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের মচন্দপুর গ্রামের ওলিম উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে গাউস বিশ্বাস (৫২) ও একই উপজেলার পরাণপুর গ্রামের আক্কাস মোল্লার ছেলে আসলাম মোল্লা (৪২)।

ওসি বলেন, রোববার সকালে এএসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগ এনে চিতলমারী থানায় একটি মামলা করেছেন।