বিপদসীমার ওপরে কুশিয়ারা, অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগরের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানিও প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2017, 01:47 PM
Updated : 26 August 2017, 03:15 PM

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয়চন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, মনু ও ধলই নদীর পানি কুশিয়ারা হয়ে নামছে, তাই কুশিয়ারা শেরপুরে বর্তমানে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

“২/৩দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও কাউয়াদিঘিতে মিশে যাওয়া ২১টি পাহাড়ি ছড়ার পানি দ্রুত হাওরে প্রবেশ করায় পানি বেড়ে গিয়ে হাওর পাড়ের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে।”

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনে টানা বৃষ্টি ও ছোট ছোট ছড়া দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

“পানি বৃদ্ধির ফলে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। এখনও পানি বাড়ছে।”

রাজনগরের ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল দাশ বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত গ্রাম। এর মধ্যে ইসলামপুর, আন্তেহরি, সোনাপুর, বেতাগঞ্জ, বিলবাড়ি, শাহবাজপুর ও  গবিন্দপুরের মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

এসব গ্রাম দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে ডুবে আছে। তলিয়ে গেছে কাঁচাপাকা রাস্তাঘাট , ফসলি জমি ও রুপা আমনের বীজতলা।

পানিতে তলিয়ে গেছে আন্তেহরি আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। একই সঙ্গে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদেও পানি উঠেছে বলে জানান তিনি।

বড়লেখা উপজেলা চেয়াম্যান রফিকুর রহমান সুন্দর জানান, একই কারণে পানি বেড়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাদিপুর, জগৎপুর, অজ্ঞানের দেয়াল এলাকায়।

এছাড়া হাকালুকি হাওরেও পানি বাড়ছে বলে জানান তিনি।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, এ জেলায় দফায় দফায় বন্যা দেখা দিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকেও বন্যার্তদের সহায়তা অব্যাহত আছে।