মিরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বলিদাপাড়া গ্রামের ৩০ বছর বয়সী ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই গ্রামের আলিমুদ্দিনের স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বকুলের অনুসারীরা ওই গৃহবধূ ও সুবল নামে এক লোককে ধরে আনে। বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানে শালিস বৈঠক করে তারা।
“ইউপি সদস্য বকুল নিজে হাজির থেকে দুইজনকে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর করে। একই সাথে তারা সুবলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে তার মোটরসাইকেল নিজের জিম্মায় রেখে দেন ইউপি সদস্য।”
তারপর গৃহবধূকে বাড়ির বাইরে যেতে বাধা দেওয়া হয় জানিয়ে সুফিয়া বলেন, “তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এমনকি মেয়েটিও পুলিশের কাছে যেতে পারেনি।”
তবে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না।”
ওসি রফিকুল পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, “খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছি। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।”
অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।