শুক্রবার শহরের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে এ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
কনভেনশনে বক্তারা বলেন, ‘দুর্নীতির’ কারণে এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে হাওরের বাঁধ ভেঙে কৃষকদের দুই লাখ ২০ হাজার হেক্টর ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকার কৃষকদের নানা ধরনের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, হাওরের কৃষকদের বেঁচে থাকার তাগিদে ইজারাকৃত জলমহালগুলো উন্মুক্ত করে জেলেদের মাছ ধরা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তার নামে ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের লুটপাট’ বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভাংশু চক্রবর্তী, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, জেলা উদীচীর সভানেত্রী শীলা রায়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, কৃষক রুহুল তুহিন প্রমুখ।
১২দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সরকারি কৃষি ঋণ মওকুফ করা, এনজিও ঋণ, মহাজনী ঋণ উত্তোলন দুই বছরের জন্য স্থগিত করা, সকল সুদ মওকুফ করা, বিনাসুদ ও বিনাশর্তে কৃষি ঋণ দেওয়া, শস্য বীমা চালু করা, বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দেওয়া, জলমহালের ইজারা প্রথা বাতিল করা, সকল জেলে ও কৃষকদের মাছ ধরার অধিকার দেওয়া, প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ করা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রকাশ করা, সারা বছর জেলে ও কৃষকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা, গবাদি পশুর খাদ্য সরবরাহ করা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের সকল স্তরে ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফি, মাসিক বেতন মওকুফ করা, সারা বছর বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা, দ্রুত নদী খননের ব্যবস্থা করা, সংকোচিত নৌ-পথ সম্প্রসারণ করা, প্রকৃতি নির্ভরতা কাটানোর লক্ষ্যে হাওর গবেষণা ইন্সটিটিউট চালু করা ইত্যাদি।