বাগেরহাটের নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার ওজোপাডিকোর বাগেরহাট কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জসিম হাওলাদার (৩৫) ওজোপাডিকোর তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এবং শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাগেরহাট শহরের গোবরদিয়া এলাকার কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে।
আদালত একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ পালকে সঙ্গে নিয়ে শহরের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সন্ধানের অভিযানে যান।
“এ সময় শহরের দশানী ও লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে নেওয়া মোট পাঁচটি বিদ্যুতের সংযোগ দেখতে পাই।
“যাদের এই সংযোগ দেওয়া হয়েছে তারা জসিমকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার দিয়েছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেন।”
নাজিমউদ্দিন বলেন, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জসিমকে তার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ পাল বলেন, জসিম তার সংগঠনের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে আসছেন।
“তিনি চাকরির পাশাপাশি অটোরিকশার চার্জের গ্যারেজ খুলে বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে ব্যবসা করেন। এতে তার কাছে ওজোপাডিকোর পাঁচ লাখ আট হাজার ৭৩২ টাকা বিদ্যুতের বকেয়া বিল পাওনা হয়।”
জসিম সেই টাকা পরিশোধ না করায় তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু তিনি বিদ্যুৎ বিল না দিয়ে গোপনে আবার সংযোগ লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন পলাশ পাল।
তিনি বলেন, “আমি তা জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তার বিরুদ্ধে খুলনার বিদ্যুৎ আদালতে মামলা করি। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।”
ওই ঘটনার পর জসিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওজোপাডিকো তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান এ প্রকোশলী।