গোপালগঞ্জে ধর্ষণের পর গর্ভপাত, মামলা তুলে নিতে ‘চাপ’

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ধর্ষণের পর গর্ভপাত ঘটিয়ে এখন মামলা তুলে নিতে পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2017, 07:10 AM
Updated : 24 August 2017, 08:18 AM

উপজেলার কুশলা গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে আব্দুর রবের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ওই নারী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এস আই রজব আলী জানান, গত বছর ২০ ডিসেম্বর আব্দুর রব ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রবের বাড়িতে তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তাকে প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন রব।

“গত ১৫ জুলাই কুশলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল শেখ ও প্রতিবেশী মাভিয়া বেগম কোটালীপাড়া উপজেলা শহরে সেবা ক্লিনিকে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে তারা গর্ভপাত ঘটায়।”

গর্ভপাত ঘটানো হয় বলে স্বীকার করেছেন সেবা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক রসময় বাড়ৈ।

এ ঘটনায় গত ২৯ জুলাই কোটালীপাড়া থানায় রব, সাইফুল ও মাভিয়ার বিরুদ্ধে মমলা করেন বলে জানান ওই নারী।

তার অভিযোগ, “মামলার পর থেকে তারা অব্যাহতভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে মামলা তুলে নিতে রাজি হই।”

আওয়ামী লীগনেতা সাইফুল কোনো প্রকার হুমকি-ধমকি দেননি এবং গর্ভপাতের সঙ্গেও জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রজব আলী বলেন, “সিভিল সার্জন অফিসে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা তদন্তে নেমে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। এখন মামলা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আইনানুগ মামলা চলছে।”

এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর গর্ভপাতের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাত বছর আগে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর সঙ্গে এই নারীর বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে বিচ্ছেদের পর তিনি কুশলা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন। তার পাঁচ বছর বয়সীয় একটি ছেলে রয়েছে।

এই নারীর বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী । তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালান ।