ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে রোববার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে নীলফামারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই নারী (৩৫)।
প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নীলফামারী সদর হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সুলতানা রাজিয়া।
মেয়েটির মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমার মেয়ের স্বামী ১০ দিন আগে কাজের জন্য এলাকার বাইরে গেছে। সেই থেকে আমি আমার মেয়ে ও তার তিন সন্তানকে নিয়ে জামাতার বাড়িতেই অবস্থান করছি।
“শনিবার রাত ৩টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ৮/৯ জন লোক প্রবেশ করে। তারা আমায় ও নাতিনদের হাত-পা বেঁধে ঘরের বাইরে একটি খুঁটির সঙ্গে আটকে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।
“আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ও আমার ভাই এগিয়ে এসে মেয়েকে রাতেই বাড়ির আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। রোববার বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।”
এ ঘটনায় কারও নাম জানাতে পারেননি মেয়েটির মা।
ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মেয়ের বাবা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরপর তদন্ত শুরু হবে।