আংগারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) উৎপল বিশ্বাস জানান, সদর উপজেলার মনোহোর বাজার এলাকার লিটন সাহার ইট ভাটা থেকে শনিবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার রাতে ওই ইট ভাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে মেয়েটির বাবা পালং থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার চরমধ্যপাড়া গ্রামের নূর হোসেন বেপারীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী পশ্চিম সোনামুখী গ্রামের কুদ্দুছ খার ছেলে রফিক খাঁ।
বাকি আসামিদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
রোববার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, রাজ্জাক ও রফিক স্কুলে যাতায়াতের পথে মেয়েটিকে উত্যক্ত করে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিলেও মেয়েটি রাজি হয়নি।
গত শুক্রবার বিকালে মেয়েটি খেলা করতে বাড়ির সামনের বালুর মাঠে যায়। এ সময় রাজ্জাক ও রফিক মেয়েটিকে কৌশলে একটি অটোরিকশায় তুলে তার মুখ বেঁধে লিটন সাহার ইট ভাটায় নিয়ে যায়।
সেখানে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে মেয়েটিকে সারা রাত ধর্ষণ করেন তারা।
শুক্রবার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখঁজি করলেও মেয়েটির হদিস পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে স্থানীয়রা ইট ভাটা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
পরিদর্শক উৎপল বলেন, মেয়েটি প্রথমে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা রাজ্জাককে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তার দেওয়া তথ্যে রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়।”
আসমিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
পালং থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মেয়েটির মা বলেন, “শুক্রবার রাজ্জাক আমাদের বাড়ি এসে আমার মেয়ের খোঁজ খবর নেয়। ওইদিনই খেলার মাঠ থেকে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সে এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছে “
আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।