এর মধ্যে রয়েছে আমন বীজতলা ১৫১ হেক্টর, রোপা আমন ২৩ হাজার ৯৩৫ হেক্টর, শাকসবজি ৮৪১ হেক্টর ও পান বরজ ১০ হেক্টর।
সদর, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার এ পরিসংখ্যান জানায় গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধা, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, নওগাঁ, জামারপুরসহ দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের জমি, বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারসহ অসংখ্য স্থাপনা।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ কা মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সদরে আমন বীজতলা ৪৫ হেক্টর, রোপা আমন এক হাজার ৮৫০ হেক্টর, শাকসবজি ৫০ হেক্টর, সাদুল্লাপুরে রোপা আমন দুই হাজার ৯২৫ হেক্টর, শাকসবজি ৫০ হেক্টর, পলাশবাড়ীতে রোপা আমন চার হাজার ১৫০ হেক্টর, শাকসবজি ২৫০ হেক্টর, পানের বরজ ১০ হেক্টর, গোবিন্দগঞ্জে রোপা আমন নয় হাজার ১৮০ হেক্টর, শাকসবজি ২৭০ হেক্টর, সুন্দরগঞ্জে আমন বীজতলা ১০০ হেক্টর, রোপা আমন এক হাজার ৯৮০ হেক্টর, শাকসবজি ১৬০ হেক্টর, সাঘাটায় রোপা আমন এক হাজার ৯৫০ হেক্টর, ফুলছড়িতে আমন বীজতলা ছয় হেক্টর, রোপা আমন এক হাজার ৯০০ হেক্টর ও শাকসবজির ২৬ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে।
সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়েনর তালুক মন্দুয়ার গ্রামের কৃষক রেজাঊল করিম (৪৫) বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে রোপা আমন, ১৪ শতক জমিতে পটল, ১৬ শতক জমিতে করলা, ২০ শতক জমিতে কলার আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ২৫ শতকের একটি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
সুদের উপর টাকা নিয়ে তিনি কৃষি কাজে ব্যয় করেন বলে জানান।
সাদুল্লাপুরের হবিবুল্লাপুর গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন আকন্দ (৪০) বলেন, দুই বিঘা জমির রোপা আমন, দুই বিঘা জমির কলা, ১৪ শতক জমিতে লাউ ও ১৬ শতক জমির হলুদ ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
“যা সঞ্চয় ছিল তা দিয়ে ফসল ফলিয়েছি। এখন হাত ফাঁকা। আবার কীভাবে ফসল ফলাব বুঝতে পারছি না।”
“এবারও চলতি মাসেই সুদের উপর টাকা নিয়ে আট বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিলাম। তাও বন্যার পানিতে ডুবে গেল। কীভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ কা মো. রুহুল আমিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য রোববার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে রংপুরে মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
“বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের আপৎকালীন বীজতলা রয়েছে। তাই চলতি মৌসুমে জেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হবে না বলে আশা রাখি।”