একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
বুধবার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন।
দণ্ডিতরা হলেন ফুলতলার বুড়িয়ার ডাঙ্গা গ্রামের আক্তার জামিল ওরফে বনি, দামোদর ভুঁইয়া পাড়ার জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু ভুঁইয়া, নড়াইলের গোবরা গোয়ালপাড়ার আলম শেখ, লোহাগড়ার চর কালনা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে পিটপিটে সুমন, নড়াইল সদরের গোবরা এলাকার আল মামুন ওরফে বোমারু মামুন ও আকদিয়ার চরের বিপুল বৈরাগী।
রায় ঘোষণার সময় জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু ভুঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচ জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন জানান, ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফুলতলা উপজেলার উত্তর আলকা গ্রামের বাড়িতে আসামিরা বোমা হামলা চালায়। এতে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আজাদ গাজী নিহত হন।
এ ঘটনায় আজাদের ছোট ভাই আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফুলতলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরিফ মাহমুদ আরও জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বিপুল ও মামুন বলেন- মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আজাদ গাজীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সুমন ও মনিরুল। চাঁদা না দেওয়ায় আজাদকে হত্যা করা হয়।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা ডিবিরিএসআই মুক্ত রায় চৌধুরী ছয় জনের নামে অবিযোগপত্র দাখিল করেন।