রংপুরে দেড়লাখ মানুষ পানিবন্দি

রংপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2017, 12:24 PM
Updated : 16 August 2017, 08:29 AM

তিস্তার ডানতীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে দুটি ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

দুর্গত মানুষের মধ্যে ১০০ মেট্রিন টন চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, “রোববার ভোরে গজঘন্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ মতলেবের বাজার এলাকায় তিস্তার ডান তীর রক্ষা বাঁধের ৭০ ফুট ভেঙে পানির প্রবল স্রোত ছালাপাক উপ-বাঁধে আঘাত হানে। এতে উপ-বাঁধের ৭০ মিটার ভেঙে গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়। অনেক বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে।”

গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, “আমার ইউনিয়নের ৫০টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ৫০টি গ্রাম এখনও পানির নীচে। তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সরকারিভাবে ৪ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা হাতির মুখে দূর্বা ঘাসের মতো অবস্থা।”

মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী আজাদ বলেন, রোববার ভোরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আলমার বাজারের ৫০০ দোকানের  মধ্যে ৪৫০টি তিস্তায় চলে গেছে। এছাড়া ওই এলাকার ৪০০ বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে।

“পানি কমতে শুরু করলেও বানভাসি মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। সরকারিভাবে চার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল”। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, “বন্যায় রংপুরের আটটির মধ্যে ছয়টি উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের এক লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত।”

“বন্যা কবলিত এলাকায় রোববার ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; এছাড়া ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ৭৫ লাখ টাকা জরুরি বরাদ্দ চেয়ে ওইদিনই ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়।”

এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ১০০ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।  

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বরে, তিস্তার ডানতীর রক্ষা বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে ছালাপাকে উপ-বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ এখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি।