রাজনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক জানান, পাঁচগাঁও গ্রামের বারীন্দ্র মালাকারের ওপর এই হামলা হয়।
আহত বারীন্দ্রকে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বারীন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, “রোববার রাতে গ্রামের কালিমন্দিরের পাশে দিঘির পাড়ে একই গ্রামের মোস্তফা ও শামসু পথরোধ করে আমার ওপর হামলা চালায়। তারা বলে, ‘মওলানা আকমল আলীর সাক্ষী দিতে কেন ঢাকায় গেলে? প্রয়োজনে আমাদের বললে আমরা লাখ-দেড়-লাখ টাকা দিয়ে দিতাম।’
“তারা আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আমি চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।”
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানিয়ে ওসি শ্যামল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অভ্যাহত রেখেছে।
যুদ্ধাপরাধের এক মামলায় ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মাওলানা আকমল আলী তালুকদারকে (৭৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। একই মামলার অন্য তিন আসামি আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), আনিছ মিয়া (৭৬) ও আব্দুল মোছাব্বিরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বছর ৭ মে তাদের বিচার শুরু হয় বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
গত বছরের ৩০ মে চার আসামির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২টি পরিবারের ১৩২টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ছয়জনকে ধর্ষণ, সাতজনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।