সোমবার বেলা ১০টার পর সারাদেশের সঙ্গে জেলার সড়ক ও দুপুর থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সকল রুটে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপার গোলাম মোস্তফা বলেন, দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেল পথের মনম্মদপুরসহ কয়েকটি স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে যাওয়ায় রোববার দুপুর থেকে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রাকিবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্যায় ২০১৭ সালের জেএসসি এবং ১৮ সালের এসএসসি র উত্তরপত্রসহ প্রায় ১০ কোট টাকার কাগজ পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। বড়বন্দর এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের একটি গোডাউনে এসব কাগজ রাখা হয়েছিল। ”
রোববার দুপুর থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আর বৃষ্টি দেখা মেলেনি।
জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানান, বন্যার কারণে (সোমবার সকাল পর্যন্ত) দুদিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার ১৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৯৫টি কলেজের প্রায় সবকটি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রোববার রাত থেকে মেজর তৌফিকজ্জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল শহরের তুতবাগান এলাকায় বন্যায় ভেঙে যাওয়া শহর রক্ষা বাঁধের পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে; সঙ্গে রয়েছে স্কাউট সদস্যরা।
পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সোমবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পাশে রয়েছে। তাদের সব ধরনের সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এই এলাকার শহর রক্ষার সব বাঁধ সংস্কার করা হবে। ”